স্পেসএক্স, টেসলা, হাইপারলুপ, পেপাল ইত্যাদি নানাবিধ কারণে যে মানুষটির কথা নিয়মিত সংবাদমাধ্যমে আসে, তিনি এলন মাস্ক। নানা রকম উদ্ভাবনী ও যুগান্তকারী চিন্তাভাবনাই মূলত এর কারণ।
মাসখানেক আগে টেসলার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বেশ চমৎকার একটি ই-মেইল দিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন বিষয় আলোচনার পাশাপাশি তাদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও দিয়েছিলেন মাস্ক। চলুন, জেনে নেয়া যাক সেই পরামর্শগুলোই।
১) দীর্ঘ সময় ধরে চলা মিটিং সময় নষ্ট করে
অতিরিক্ত মিটিং বড় কোম্পানিগুলোর একটি বড় সমস্যা। সময়ের সাথে সাথে এটা বাড়তেই থাকে। যদি কোনো মিটিংকে আপনার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, যদি মনে হয় সেটা আসলেই আপনার কাজে আসবে, কেবলমাত্র সেক্ষেত্রেই সেই মিটিংয়ে অংশ নিন। নাহলে সেসব মিটিং এড়িয়ে চলুন।
২) দরকারি না হলে ঘন ঘন মিটিং অপ্রয়োজনীয়
যদি খুব বেশি দরকারি কিছু না হয়, তাহলে ঘন ঘন মিটিংয়ের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসুন। একইভাবে সেই দরকার শেষ হয়ে গেলেও ঘন ঘন মিটিং বাদ দিয়ে শুধু কাজের জন্যই মিটিং করুন।
৩) কোনো মিটিংয়ে আপনার প্রয়োজনীয়তা না থাকলে চলে আসুন
যদি কোনো মিটিংয়ে আপনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে না থাকেন, তাহলে সেখান থেকে দ্রুত চলে যাওয়াই উত্তম। এভাবে চলে আসাটা খারাপ দেখাবে না, বরঞ্চ খারাপ তখনই দেখাবে যদি আপনি অযথাই কাউকে মিটিংয়ে ডেকে আনেন এবং তার মূল্যবান সময় নষ্ট করেন।
৪) দ্বিধাপূর্ণ, অর্থহীন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকুন
যেকোনো বিষয় ভালোভাবে বোঝাতে সবচেয়ে বেশি দরকার সঠিক উপায়ে যোগাযোগ এবং সেটা ঠিকমতো বোঝানো। সংক্ষিপ্ত কথাবার্তা অনেক সময়ই ঠিকমতো আপনার মনের ভাবকে সহকর্মীর কাছে প্রকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। তাই এদিকটায় বিশেষ সচেতন হতে হবে।
৫) অতিরিক্ত কর্ম-ধাপ যেন দক্ষতা কমিয়ে না দেয়
কোনো কাজ সম্পন্ন করার জন্য যোগাযোগ প্রক্রিয়া যত সংক্ষিপ্ত হয় ততই ভালো। এখানে কোনোভাবেই চেইন অফ কমান্ড আনা যাবে না। কোনো ম্যানেজার এখানে (অর্থাৎ টেসলায়) যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় চেইন অফ কমান্ড আনতে চাইলে তাকে অন্যত্র চাকরি খুঁজতে হবে।
৬) কারো সাথে যোগাযোগের দরকার হলে সেটা সরাসরি করুন
একটি কোম্পানিতে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের মাঝে যোগাযোগ কিংবা তথ্যের আদান-প্রদান যদি অনেক পথ ঘুরে হয়, তবে সেটা সেই কোম্পানির জন্যই ক্ষতিকর। এ থেকে উত্তরণের পথ একটাই। সকল ডিপার্টমেন্টের মাঝে তথ্যের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা। এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, একজন মানুষ যার সাথে কথা বলতে চাচ্ছেন, তিনি যেন সরাসরি তার সাথেই কথা বলতে পারেন এবং তার কাঙ্ক্ষিত কাজটা সারতে পারেন।
৭) বোকার মতো নিয়ম পালন করে সময় নষ্ট করার দরকার নেই
আপনার কমন সেন্স যা বলে, সেটা প্রয়োগ করেই কোনো একটা কাজ সম্পন্ন করুন। যদি কোনো কারণে কোম্পানির তথাকথিত নিয়ম আপনার কাছে মুর্খের প্রলাপ বলে মনে হয়, তাহলে সেই নিয়মটাই পাল্টে ফেলা উচিত।